সাইবার নিরাপত্তা

সাইবার নিরাপত্তায় কী করবেন?


প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতার জন্য বাংলাদেশের অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভ অ্যান্টিভাইরাস (www.reveantivirus.com) কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে। জেনে নিন দরকারি কিছু তথ্য:
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপদ রাখুন
কম্পিউটার ও স্মার্ট ডিভাইস ছাড়া অফিস এখন চিন্তারও বাইরে। কেবল কাজ নয়, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কম্পিউটারে ডিজিটাল ফাইল আকারে সংরক্ষিত থাকে। তাই অফিসের কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে সাধারণত যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়, তা নিরাপদ রাখা সবচেয়ে জরুরি। ব্যবস্থাপককে অফিসের নেটওয়ার্ক নিরাপদ কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন বিভাগসহ মানবসম্পদ বিভাগের তথ্য যাতে বেহাত না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। অ্যাডমিন আইডিতে যেন বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত রাখতে হবে।
হালনাগাদ ওএস এবং সফটওয়্যার
অনেক সময় খরচ বাঁচাতে ও ইন্টারনেটের গতি ঠিক ধরে রাখতে উইন্ডোজের স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ বন্ধ রাখা হয়। এতে বিপদ হতে পারে। নিরাপদ থাকতে এবং কাজের নিরবচ্ছিন্নতা ধরে রাখার জন্যই অফিসের প্রতিটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও নিত্যব্যবহৃত সব সফটওয়্যার নিয়মিত হালনাগাদ রাখতে হবে।
কর্মীদের সচেতন করা
অফিশিয়াল কম্পিউটার ও এতে সংরক্ষিত ডেটার নিরাপত্তায় শুধু কর্তৃপক্ষ নয়, প্রয়োজন কর্মীদের সচেতনতাও। তাই বছরে অন্তত একবার সহকর্মীদের অংশগ্রহণে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্যের মূল্য ও গুরুত্ব কর্মীদের বোঝাতে হবে। এসব তথ্য বেহাত হলে ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা দিতে হবে।
তথ্য ব্যাকআপ রাখা
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাকআপ রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক, ক্লাউড বা অন্য কোনো মাধ্যমে রেখে দিতে পারেন। এতে কোনো দুর্যোগ বা বিপর্যয়ে ওই তথ্য কাজে লাগানো যাবে।
অননুমেয় পাসওয়ার্ড
অফিশিয়াল ডকুমেন্ট আদান-প্রদান থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ফাইলের ব্যাকআপ, চ্যাটিং, ব্যাংকিং—সবই এখন অনলাইননির্ভর। সহজ বা সহজে অনুমান করা যায়—এমন পাসওয়ার্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কমপক্ষে আট অক্ষরের দীর্ঘ ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদির সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন এবং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বছরে অন্তত একবার পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।
নিরাপদ ইউএসবি ব্যবহার
অনেক যন্ত্রেই এখন ইউএসবি সুবিধা পাবেন। ইউএসবির মাধ্যমে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই ইউএসবি পোর্ট সুবিধায় নিজের ফোন অন্যের পিসিতে চার্জ দেওয়া কিংবা নিজের পিসিতে অন্য কারও ডিভাইস চার্জ হতে দেওয়া বা ডেটা ট্রান্সফার জরুরি না হলে ব্যবহার করবেন না।
ভুয়া মেইলের লিংকে ক্লিক করবেন না
অনেকেই লোভনীয় অফারে প্রলুব্ধ হয়ে ই-মেইলে আসা ভুয়া লিংকে ক্লিক করে বসেন। এ ধরনের ফিশিং মেইলে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
নিরাপদ অ্যান্টিভাইরাস
সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। বিনা মূল্যের অ্যান্টিভাইরাস সব সময় নিরাপদ হয় না। অফিসের পিসিতে ভালো মানের লাইসেন্স করা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্রঃ
প্রথমআলো
অনলাইন ডেস্ক

আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮, ১৪:২০


যে নামগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না

অনেকেই অনলাইন অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড হিসেবে সহজ কিছু নাম ব্যবহার করেন। এতে ওই পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সুবিধা হয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সহজে অনুমান করা যায়—এমন নাম বা সংখ্যা পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। এতে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা।
পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্প্ল্যাশডাটা বলছে, অনেকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের নামের পরিবর্তে সহজে মনে রাখা যায়—এমন কিছু জনপ্রিয় নাম পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। এ ধরনের নামগুলো পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলে তা দ্রুত বদলে জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের চোখে এগুলো বাজে পাসওয়ার্ড। দেখে নিন কয়েকটি বাজে পাসওয়ার্ডের তালিকা:
Jordon
Harley
Robert
Matthew
Daniel
Andrew
Andrea
Joshua
George
Maverick
Nicole
Merlin
Chelsea
Amanda
Ashley
Jessica
Jennifer
Michelle
William
Maggie
Charlie
Martin
পাসওয়ার্ড হিসেবে এ নামগুলো ব্যবহার বিপজ্জনক। এ ধরনের নামের পাসওয়ার্ডের তালিকা সাইবার দুর্বৃত্তদের হাতে থাকে। তারা নানা কৌশল খাটিয়ে এসব পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টের সব তথ্য হাতিয়ে নেয়।
তথ্যসূত্রঃ
প্রথমআলো
অনলাইন ডেস্ক
 


আড়ি পাতছে গুগল?

ভয়েস কমান্ডে চলা ডিজিটাল সহকারী বেশ কাজের। সন্দেহ নেই। কিন্তু নির্দেশের অপেক্ষায় ২৪ ঘণ্টা আড়ি পেতে থাকে। সমস্যাটা সেখানেই। অনেক ব্যবহারকারী দুশ্চিন্তায় থাকেন, কখন তাঁর গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যায়। একই দুশ্চিন্তা যদি আপনার মনেও উঁকি দেয় তবে জেনে রাখা ভালো, গুগলের সুবিধাটি চাইলেই বন্ধ রাখা যায়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য তিনটি ধাপে কাজটি করতে পারেন।

প্রথমে OK Google ডিটেকশন বন্ধ করুন
• স্মার্টফোনের সেটিংসে গিয়ে গুগল নির্বাচন করুন
• Services অংশে Search-এ স্পর্শ করুন
• এখানে Voice-এ ক্লিক করুন
• ‘ভয়েস ম্যাচ’ কিংবা ‘ওকে গুগল ডিটেকশন’ নামে অপশন দেখতে পাবেন। নির্বাচন করুন
• Say “OK Google” any time অপশন বন্ধু করুন

গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে ভয়েস হিস্ট্রি বন্ধ করুন
• গুগলের অ্যাকটিভিটি কন্ট্রোল পেজে গিয়ে লগইন করুন ( ঠিকানা: goo.gl/1g8L9R)
• খানিকটা নিচেই Voice & Audio Activity পাবেন
• স্লাইডার বন্ধ করে দিলেই গুগলে অ্যাকাউন্ট থেকে ভয়েস রেকর্ডিং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে

চাইলে ফোনের গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে মাইক্রোফোন ব্লক করে রাখতে পারেন
• আবারও সেটিংস চালু করে Apps & notifications নির্বাচন করুন
• See all X apps নির্বাচন করলে ইনস্টল করা সব অ্যাপের তালিকা দেখাবে
• তালিকা থেকে গুগল অ্যাপ খুঁজে নিন
• Permissions নির্বাচন করে Microphone স্লাইডার নিষ্ক্রিয় করে দিন
সূত্র: মেক ইউজ অব


Comments

Popular posts from this blog

ভ্রমণ ও যানবাহন TRAVEL SOLUTION & TRANSPORTATION

সামাজিক যোগাযোগ

অ্যান্ড্রয়েড ও ইলেক্ট্রনিক বাজার